May 17, 2024, 4:24 pm

ফুলবাড়ীতে রঙ্গিন বাঁধাকপির চাষে সাড়া ফেলেছেন সোহেল রানা

জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায় রঙ্গিন জাতের বাঁধাকপি চাষ করে কৃষকদের মধ্য সাড়া ফেলেছেন, উপজেলার সোহেল রানা নামে এক কৃষক।
দিনাজপুর ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান ফুলবাড়ী অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সার্বিক তত্বাবধানে প্রথম বারের মতো খয়েরবাড়ী ডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সোহেল রানা ৩২ শতাংশ জমিতে রঙ্গিন জাতের বাঁধাকপি রুবি -কিং চাষ করেছে। প্রথম বার চাষেই ব্যাপক সাফল্য আসায় অন্যান্য কৃষকদের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি করেছেন।
কৃষি বিভাগের সূত্রটি জানায, শীতের অন্যতম সবজি বাঁধাকপি। বাঙ্গালিদের অত্যন্ত প্রিয় এ সবজি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। শীতের মৌসুমী সবাই বাঁধাকপির স্বাদ গ্রহণ করে। এ অঞ্চলে এবার নতুন করে চাষ শুরু হয়েছে রঙ্গিন জাতের বাঁধাকপি।
রঙ্গিন বাঁধাকপি চাষে দ্বিগুণের বেশি লাভ আশা করছেন কৃষক সোহেল রানা। তিনি বলেন, সাধারণ বাঁধা কপির তুলনায় রঙ্গিন জাতের এ কপি বাজারে দাম ও চাহিদা বেশি হওয়ায় অন্যান্য কৃষকদের মাঝে এ কপি চাষে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে।
কৃষক রানা বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরমার্শ ও সহায়তায় তিনি ৩২ শতক জমিতে এ কপি চাষ করেছেন। কৃষি অফিসের সরবরাহকৃত ৭৫০টি চারা, জৈব বালাই নাশক, কেঁচো সার, ফেরোফিন ফাঁদ ও জৈব স্প্রের মাধ্যমে সম্পূণ অর্গানিক পদ্ধতিতে এ রঙ্গিন কপি চাষ করা হয়েছে। এ বাঁধাকপি গুলো ৮০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে পরিপক্ক হয়ে বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। এ কপি দেখতে যেমন রঙ্গিন, সুন্দর ও স্বাদে হালকা মিষ্টি। সালাত হিসেবেও খাওয়া যায়।তিনি সবেমাত্র কাঁটতে শুরু করেছে। বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে এ কপি বিক্রি হচ্ছে। কপি চাষি জানায় ৩০ টাকা কেজি দরেও কপি বিক্রি হলে তিনি লাভবান হবেন।
জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, ‘দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পের অধিনে’ প্রথম বারের মতো এ বছর এ উপজেলায় পরীক্ষা মূলক একজন কৃষকের ৩২ শতাংশ জমিতে রঙ্গিন জাতের বাঁধাকপি রুবি-কিং চাষ করা হয়েছে। এ কপিতে সাফল্য আসায় আগামীতে এ জাতের কপির চাষ বৃদ্ধি করা হবে। তিনি বলেন এ বাঁধা কপি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পুষ্টি গুণ সমৃদ্ধ। এটিতে রঙ্গিন ও সবুজ শাক-সবজির তুলনায় ভিটামিন ও আয়রন বেশি থাকে। কৃষি কর্মকর্তা বলেন এ কপিতে চর্বি নেই, পাশাপাশি আলসার ও ক্যানসার প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী। স্বাদে হালকা মিষ্টি। সালাত হিসেবেও খাওয়ার উপযোগী। ফলে এটি খাওয়া মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী।
ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান মিয়া তার সাথে ও কৃষকের রঙ্গিন বাঁধাকপির ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন। ফলন ভালো হয়েছে বলে তিনি উপস্থিত কৃষকদের নিকট সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
আগামীতে জেলার অন্যান্য উপজেলা গুলোতে এ ধরনের রঙিন বাঁধাকপি চাষে কৃষকদের মাঝে উৎসাহ বাড়ানো হবে। এজন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :